কক্সবাজার প্রতিনিধি :: দেশের বৃহত্তম অবকাশযাপন কেন্দ্র কক্সবাজারে আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে লাখো পর্যটকের ঢল। ইতোমধ্যে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনের হোটেলগুলোতে আগামী তিনদিন পর্যন্ত বুকিং শেষ। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটের পর্যটকবাহী ৮টি জাহাজের টিকেটও প্রায় শেষ। বিজয় দিবসের ছুটিতে অবকাশ যাপনের জন্য ভ্রমণ পিপাসু হাজারো মানুষ আজ বুধবার বিকেল থেকেই কক্সবাজারমুখী হচ্ছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
হোটেল মালিকরা জানান, কাল বৃহস্পতিবার বিজয় দিবসের ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিন সরকারি ছুটি শুরু হচ্ছে। আজ বুধবার অফিস আদালত শেষ। এ কারণে আজ বিকেল থেকে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা কঙবাজারমুখী হচ্ছেন। তবে কাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কঙবাজারে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় হবে বলে মনে করেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ ট্যুরিজম সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন কঙবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার।
তিনি বলেন, কঙবাজারের প্রায় ৫শ হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে দেড় লাখ পর্যটকের রাত যাপনের সুবিধা রয়েছে। বিজয় দিবসের ছুটি উপলক্ষে আগামী তিন দিনের জন্য শতকরা প্রায় নব্বই ভাগ কক্ষ আগাম বুকিং রাখা হয়েছে, বাকি ১০ ভাগ কক্ষ ‘বিশেষ’ অতিথিদের জন্য খালি রাখা হয়েছে।
কঙবাজার মেরিন ড্রাইভ হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, বিজয় দিবসের টানা সরকারি ছুটি উপলক্ষে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের হোটেলগুলোতে বুকিং প্রায় শেষ। এছাড়া আগামী ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর এবং ৩০, ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি পর্যন্ত দিনগুলোর জন্যও আগাম বুকিং শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি।
কঙবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনে প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এসএম কিবরিয়া খান জানান, বিজয় দিবসের ছুটি উপলক্ষে সেন্টমার্টিনের জাহাজ ও হোটেলগুলোতেও আগামী চারদিন পর্যন্ত বুকিং শেষ। বর্তমানে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে ৭টি এবং কঙবাজার-সেন্টমার্টিন ও চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে একটি করে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সুপার জিল্লুর রহমান জানান, বিজয় দিবসের ছুটিতে অবকাশ যাপনের জন্য ভ্রমণ পিপাসু হাজারো মানুষ কঙবাজারমুখী হচ্ছেন। আর তাদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা পর্যটন কেন্দ্র ও সড়ক মহাসড়কে টহল জোরদারের পাশাপাশি সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, লাখো পর্যটকের ভিড়ে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য জেলা প্রশাসনের সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির পর্যটন সেলের সদস্যরাও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সৈকতে দায়িত্ব পালন করবে।
পাঠকের মতামত: